নিয়াজ আজিজ দ্বীপ'র ‘ ইস্পাত বোঝেনা খড়কুটোর দুঃখ থেকে কবিতা ’

১.

ক্ষয়ে যাওয়া শব্দগুলো

প্রতিদিন ক্ষয়ে যাওয়া শব্দগুলো দীর্ঘ হচ্ছে,

কখনো ছায়ারা এসে আমার হাত ধরেছে,

কখনো রোদ এসে মিশে যাচ্ছে পায়ে।

এর পরেই তো আলো,

এর পরেই কুৎসিত অন্ধকার—

মুখ গুঁজে আমাকে খাচ্ছে।

এই যে ক্ষয়ে যাওয়ার চিহ্ন,

শব্দের তুলিতে আঁকা

জীবনের ক্যানভাসে—

তা রং হারাচ্ছে!

হারানোই নিয়ম,

আর নিয়ম-নীতিই শেখায়

নতুন কোনো ছবি হতে,

যা আঁকবো বলে

আজও আয়নার ভেতরে মুখ লুকিয়ে আছি।

আরো একটা জন্মের অপেক্ষায়...

কারণ সৃষ্টিই হয়তো সৃষ্টির উৎসাহে থাকে!

২.

গতানুগতিক

"প্রত্যেক দিন একই রকম কাটে—

বারান্দায় দাঁড়িয়ে

কিংবা

জানালার পাশে হাত রেখে—

ইদানিং আস্ত ভোর খেয়ে নিচ্ছে ঘুম—

প্রকৃত ঘুমে যাচ্ছে কতো মানুষ

হাসপাতালে —মর্গে—চিতায় লম্বা ঘুমের লাইন

এতো ঘুম

শহরে কে ছড়ালো

মহামারি

প্রযুক্তি কারবারি।

সে যেই দিক

দিয়েছে কেউ—

বরং একলা ঘরে

চড়াই ডাকে

রোদ গ্রিলের ছায়া মাখে—দুপুর গড়ায় শালিক গানে;

আধখাওয়া সিগারেট ঠোঁটে রেখে—

পার করি বিকেল—

সন্ধ্যা নামে

সূর্যের মুখে

রাত এক —সাদাকাক

ঘুমের পরে

ডাকতে পারে—

স্বপ্নে।"