আইলো এ কোন জামানা
আইলো এ কোন জামানা, মানুষে মানুষে হানা।
মানুষ মরে মানুষেরই হাতে।
আছি, এ কোন পৃথিবীতে? আছি, এ কোন পৃথিবীতে?
এই মানুষেই লাগায় আগুন, মানুষেরই ঘরে
সৃষ্টির সেরা জীব এ মানুষ, হয় যে কেমন করে?
বলবো কী আর হয় গো যাহা, এই সমাজের পথে।।
নয় নিরাপদ ভাইয়ের হাতে, সোনার টুকরো বোন
দেখি আবার পিতাই করে, কন্যাকে ধর্ষণ।
শিক্ষকও দেখি সুযোগ নেয়, দিনে কিবা রাতে।।
সুব্রত কয় ওরে মানুষ, শোন রে দিয়া মন
সুন্দর এ ধরণীতে, আইলি কী কারণ?
জবাব কী তুই দিবি রে বল, মালিকের সাক্ষাতে?।।
তৃষার্ত প্রাণ
মানুষ!
বর্বর থেকে সভ্য হয়েছে,
সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ জীব,
উন্নত চিন্তাশীল জাতি!!!
এসব ভাবতেও মাঝে মাঝে নিজেদেরকে
সবচেয়ে নিকৃষ্ট বলেই মনে হয়।
মানুষ কবে মানুষ হবে?
পৃথিবীটা মানুষের হোক।
শান্তিতে বসবাস করুক, মানবজাতি,
একে অপরের হয়ে।
আর, কেন যে সৃষ্টিকর্তা মানুষ রূপে অমানুষদের
এই পৃথিবীতে পাঠান?
আর কেনই বা তাদের এত অপক্ষমতাশালী করেন?
এই জিজ্ঞাসা ঘুরপাক খায় মস্তিষ্কে!
শুনেছি কল্পনা জগতে মানুষ শূন্যে ওড়ে,
আর এখন তা বাস্তবে যে দেখতে হবে, জানা ছিলো না।
তাও এরকম বিভৎসভাবে!
কামানুষের দ্বারা।
হে ধ্বংসের দেবতা, তুমি এই কামানুষদের ধ্বংস করো।
তোমার কাছে এটাইই প্রাণের আহ্বান।
হে প্রভু! সবাই তো তোমারই সৃষ্টি।
সবাইকে তুমি একসাথে শান্তিতে বসবাসের যোগ্য করে গড়ে তোলো।
শান্তিপূর্ণ এক সবুজ পৃথিবীর অপেক্ষায়
তৃষার্ত প্রাণ।
Social Plugin