![]() |
আদ্রিতি মেঘ |
১.
___
শুনেছি তুমি নির্জীব পথে হাঁটার শ্বাশত কলরব;
অথচ তোমাকে দেখলেই কেবল পূর্বজন্মের কথা মনে পড়ে।
২.
তবুও পাপ-পূণ্যে প্রেম–
অথচ এখানে দেবীর আগমন থেকে;
বিসর্জনের আয়োজন'ই বরাবর উৎসবমুখর হয়।
৩.
__
আমাকে গ্রহণে'র ক্ষমতা স্বয়ং ঈশ্বরেরও
নেই জেনে, ভুল উপমায় আরও একবার দৃশ্যমান হয়েছি।
৪.
~তথাপি আমিও
তথাকথিত শীতের ভোরে আশ্চর্য ঈশ্বরের সাক্ষাৎ পাব বলে;
বালির্নের হেমন্ত উৎসব ফিরিয়ে দিয়েছে আমায়–
৫.
–
দ্রোহের উষ্ণ-চোখে যদি প্রেম বেঁচে যায় সংহারে;
মনে পড়লে শিরনী দিও কোন এক 'দক্ষিণ মাজারে'।
৬.স্যালুলয়েড
মানুষ কি সুনিপুণ ভাবে নিজের দু:খটাকে অনুভব করতে পারে,
চোখের কার্ণিশে ঘুমিয়ে পড়া ক্লান্তিবিনোদন নিয়ে একাকিত্বটাকে
মেনে নিতেও পারে যদিও খুব'ই দু:সাধ্যের মধ্যেই পড়ে।
সবকিছু বড়'ই অদ্ভুত, পৃথিবীতে একা এসেও মানুষ একাকিত্ব
মেনে নিতে অনেকটা সময়'ই নির্দ্বিধায় শেষ করে দেয়।
অসম্ভব জীবনবাদী হয়েও অল্প বিস্তর প্রেম, প্রেমিক কিংবা
প্রেমিকার দেওয়া দু:খটাকে মাথায় রেখে কান্না করে
চোখের জলের মৃত্যু ঘটায় অহরহ!
অথচ জীবন কতটা কল্পনায় আশ্চর্যময় হলে মাঝেমধ্যে মস্তিষ্কে
আসে আমি মরে গেলে কি আমার মৃত্যু সংবাদ আমি পাব?
মৃত্যুটা'কে মস্তিষ্কে ধারণ করতে যেয়ে ভেবে বসি, এইতো কফিনের
মধ্যে শুয়ে আছি পাশেই অক্ষত গোলাপ রেখে কেউ আমায়
বাইরে থেকে অনবরত কবিতা পাঠ করে শুনাচ্ছে।
কবর আর ন-য়তো সমাধি দেওয়া অবস্থায় মৃত্যুটাকে মেনে নিয়ে
কান পেতে শুনতে পাচ্ছি কেউ হয়তো এই আমার'ই
কবরের পাশ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছে।
অথচ আমি তা'কে নি:শব্দে ডেকে নিয়ে এসে বলি বসো যাও,
একটুখানি গল্প করি,মানুষের স্যালুলয়েড ছবি আঁকি।
জীবন আর মৃত্যুর সন্ধ্যিক্ষণে দাঁড়িয়ে আজও অনুভব করছি
ভালোবাসায় মানুষ সবকিছু নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসতে পারে।
ভালোবাসাহীন জীবন নিছকই অর্থহীন।
হোক সেটা প্রেমিক কিংবা প্রেমিকার ভালোবাসা অথবা
আপাদমস্তক পথভ্রষ্ট কোনো পথিকের।
তবুও ভালোবাসা'র প্রয়োজন।
মানুষ দিনের-পর দিন হয়তো নিজেকে ভালোবেসে যায়, আর
নয়-তো আমৃত্যু ভালোবাসে অসম্ভব প্রিয় তার অন্য মানুষটাকে।
অথচ তারা কখনো জানেও না তাদের ধারণাও নেই
মানুষ এখনো সেই মানুষটা'কে ভালোবাসতে পারে।
Social Plugin