শুভ চক্রবর্তীর দুইটি কবিতা

শুভ চক্রবর্তী 


 [] বিশুদ্ধ ভ্রান্তি


*

ছবির ফ্রেমের মতো স্থিরচিত্র হয়ে পেরেক ঝুলে আছি -

সাপ্তাহিক উল্লিখিত শুক্র শনি চলে যায়..


চুমুর যদি পাখা থাকতো উড়ে যেতো -

নাক ঠোঁট পরিক্রমায় থেমে যেতো এক প্রেমিক জাহাজে!!


ঘুমের ভানে জেগে থাকাই ফাঁকি। সদ্যজ্যেত শিশুর গর্ভনারি কর্তন- শীতগামী ট্রেন নৈকট্যপ্রয়াসী স্টেশনের। পূর্বপ্রস্ততি বিহীন দিকভ্রান্ত মাছের উজ্জ্বল চোখের ভাষার জীবন। বেঁচে যাওয়া ধ্বংসস্তুপের ফাঁকে সূর্যের সাথে মাথা নাড়িয়ে বন্ধুত্বের আহ্বান জানায় আহত বৃক্ষ - কিন্তু দিগন্তে মুছে যায় সম্পর্ক। একদিন ভুল করে প্রেমিকার কাছে ছেয়েছিলাম ক্যামেলিয়া। প্রেম ভেঙ্গে যায় - অপেক্ষায় বেমালুম বেজে উঠে নষ্ট ঘড়ির এ্যালার্ম...!





[] নকশা


*

শিশুকাল থেকে রুপরেখা -

প্রাপ্তবয়স্কে এসে নকশা

সব প্ল্যান শ্যাওলার সবুজে ঘুম পাড়িয়ে রাখে।

কখনো এতোটুকু বিস্মিয়ে খোলা জানালায় আকাশ দেখা হয়নি তো।


আলাপনে চিরায়িত পাঠলুপ্ত মিথে,

বহুবর্ণিল কালো চাদরে ভবিষ্যৎ

কাঁপা হাতের ঝলসানো চিটি

কার উদ্দেশ্যে।


ফাঁদ না চেনা গহীন অরণ্যে

সাবধান হওয়া সুযোগ নেই - তবুও

নকশাকার জীবন।

শুধু নকশা

আর

নকশা।


এ প্রতিটি নকশার এক একটা ডানা ঠাকুরমার ঝুলির কালো রহস্যে পাখি হয়ে -

মানুষের পৃথিবীতে উড়ে।