এথেন্স পাটোয়ারীর একগুচ্ছ কবিতা




পার্সেল

*

দুই একটা গল্প নিয়ে ঢাকায় আমিও আসি,এসে দেখি আমরা চেয়েও বড় বড় গল্পকার এখানে।আমার একটা গল্প বেচা যায়নি।

হতাশবৃক্ষের নিচে বসে ছায়া খাই আর বিরহে আত্মীয়স্বজনের সাথে পরিচয় বাড়তে থাকে দিনক্রমে।

অথৈ দরিয়া নেমে পড়েছি সাঁতার তো শিখে আসিনি,তাই পিছনে তাকাই দেখি আমার উঠোনের জীবন শ্রেয় ছিলো।

ঢেউ আর ভাঙনের তাড়া খেয়ে তোমার দরজা গিয়ে দাঁড়াই।

ঘরে ভেতর থেকে ডাক আসে ‘কে আপনি?’

একটা ভাঙা মন ছিলো!

‘সরি,আমি কোন পার্সেল অর্ডার করিনি,আপনি আসতে পারেন।’

তোমার কাছ থেকে তাড়া খেয়ে আমি আর কোথায় যেতে পারি?



অসুখ

*

মায়ের দু'চোখে প্রচুর না কাঁদার দিন সংসার করে।

মায়ের তো জীবন শেষের দিকে মা এখনো কার জন্য কান্না জমিয়ে রাখে কোন প্রেমিকের জন্য?

তাকে বলবে হাতে হাত রেখে সমস্ত নির্জন নিশি কথা।


আজকাল মায়ের হয়ে কাঁদি,তার না কাঁদার দিনগুলো মায়ের বেদনার উপর দাঁড়িয়ে।

মায়ের হয়ে কি কাঁদে তার গোপন প্রেমিক?


শাসনে-বারণে ধীরে ধীরে বাবা চরিত্র হয়ে যাচ্ছে আমার ভেতরের মানুষটি।

আমার মায়ের মতন কান্না জমিয়ে রাখে আমার ওনি।

ওনার চোখে এখন সংসার করে প্রচুর না কাঁদার দিন আর অভিমান। 

ওনার হয়ে কে কাঁদবে অনাগত সন্তান,না ওনার কোন গোপন প্রেমিক?


যেমন আমি মায়ের হয়ে কাঁদি আর কাঁদি গোপন প্রেমিকার যেকোনো অসুখের দিনে।




পাওনাদার 

*


নিজের ভেতর ঢুকে দেখি অনেক পাওনাদার।

এক পাওনাদার জানালো সে ‘আমাকে ছাড়া বাঁচবে না’।




উঠোনবক্ষে

*

মেয়েটির চুলের মতো উড়ে যাচ্ছে পশ্চিমের বন।

ঢেউগুলো মেঠোপথে উঠে হাঁটতে শুরু করেছে।

উজান মাছ চলে যাচ্ছে গ্রাম ভ্রমণে।

গাছের খোঁপায় থেকে ছাড়া পাওয়া বাতাস জিরিয়ে নিচ্ছে রেশম শাড়ির শরীরে।

শাড়ি তার ভেজা জীবন শুকিয়ে নিচ্ছে রোদের গায়ে পিট রেখে।

স্যাতসেতে এ জীবন নিয়ে তুমি কার উঠোনবক্ষে গিয়ে নিজেকে মেলে ধরতে পারো?

আছে কেউ?

রেখে আসা পিছনে!